করোনা ভাইরাসের এই আক্রমন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এর মৃত্যুহারের সঠিক হিসেব করা কঠিন। কারন এখন যে অসুস্থ আছে সে সুস্থ হবে না তার মৃত্যু হবে তা আমরা জানি না।
তবে মৃত্যুহারের একটা কাছাকাছি মান বের করা যায় হিসেব করে। যেমন ধরা যাক, আজ ১৫ই মার্চের হিসেব মতে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে তথ্য নিন্মরূপঃ
মোট আক্রান্ত হয়েছে – ১৫৬,৫৬৮
সুস্থ হয়েছে – ৭৫,৯২২
মৃত্যু – ৫,৮৩৬
এখনও অসুস্থ – ৭৪,৮১০
— সাধারন অসুস্থ – ৬৯,১৬০
— মারাত্মক অসুস্থ – ৫,৬৫০
আরও পড়ুন – করোনা ভাইরাস: উৎপত্তি, প্রতিকার ও সতর্কতা
উপরের হিসেব মতে মোট আক্রান্ত ও মোট মৃত্যু থেকে মৃত্যুহার বের হয়- ১০০x৫,৮৩৬/১৫৬,৫৬৮ = ৩.৭৩% ।
কিন্তু এখন পর্যণ্ত মোট আক্রান্তের মধ্যে মারাত্ত্বক অসুস্থ আছে ৫,৬৫০ জন। এখান থেকেও বেশ কিছু রোগী মারা যাওয়ার সম্ভবনা আছে। আবার গত এক সপ্তাহে যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যেও অনেকের অবস্থা আগামীতে মারাত্ত্বক হতে পারে। এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত এমন অনেক রোগী আছে যারা সামান্য অসুস্থ হয়েছে এবং ভালো হয়ে গিয়েছে। তারা হয়তো হাসপাতালে রিপোর্টও করে নাই। এদের সংখ্যা হিসেবে আসে নাই। তাই একেবারে সঠিক মৃত্যুহার বের করা সব সময়ই কঠিন।
তবে যেটা জানা জরুরী তা হলো যারা বয়স্ত ও যাদের আগে থেকেই বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা, যেমন- ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনী রোগ, ফুসফুসের সমস্যা ইত্যাদি আছে তাদের বেশী সাবধান হতে হবে। কারন তাদের ক্ষেত্রেই করোনা সমস্যা বেশী জটিল হয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই, আমেরিকার সিডিসি থেকে বৃদ্ধ/বৃদ্ধাদের একান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
নিবন্ধিত রোগীদের প্রাপ্ত তথ্যমতে নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বয়সভেদে মৃত্যুহার নীচে দেওয়া হলো-
বয়স | মৃত্যুহার |
৮০+ বছর | ১৪.৭% |
৭০-৭৯ বছর | ৮.০% |
৬০-৬৯ বছর | ৩.৬% |
৫০-৫৯ বছর | ১.৩% |
৪০-৪৯ বছর | ০.৪% |
৩০-৩৯ বছর | ০.২% |
২০-২৯ বছর | ০.২% |
১০-১৯ বছর | ০.২% |
০-৯ বছর | ০.০% |